স্ট্রাইক চলছে বুয়েটে,কাল শুক্রবার ছিলো,তার আগেরদিন,আজ (২৬.১১.২০১১) ক্লাস বন্ধ।স্ট্রাইকের থলেতে আছে বিড়াল,শেয়ালের নজর পড়েছে,এখনও মুরগী হয়ে আছি তাই সে কথা এখন আজ বলবোনা।
….......
একটু সামনের দিকে তাকাতে চাই।ধরে নিই যে আজ থেকে ২০ বছর পর,
বুয়েটে রাজনীতি ঢুকে গেছে পুরোদমে।
টাকা দিয়ে বুয়েট নামক স্থানে এখন সব করা যায়।
ছাত্ররা দো-তলা,তে-তলা... থেকে নিক্ষেপ কর্মে পারদর্শী।
বুয়েট প্রোফেশনাল ল্যাব টেষ্টগুলো আজ নানা প্রকারের ভয়াবহ রেজাল্ট দেয়।
চার বছরের কোর্স লাগে ৭ বছর (আদু-ইঞ্জিনিয়ার)।
সাদিকুন নাহার সানিদের দেখা মেলে নির্বাচন ঘুরলেই একাধিক।
creative অব্যাবস্থাপনায় দলে দলে আদম পাচার।
কি হবে তাহলে?মুরগী।না,হাস আমি নূন্যতম,হাসও পাখি।আর পাখির চোখ তার নিজের মতো ভাবে যে সে দেখতে পাচ্ছে সেদিন (present indefinite in the future.format),
সবকটা কামড়াকামড়ি করবে,লীগ,দল বা ফ্রণ্ট।ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসবে সে ছেলেগুলো,মহা আদর্শে দেশের উপকার মঙ্গল স্বপ্ন দেখেছিলো যারা।গিয়েছিলো রাজনীতি করতে।থেকে যদি যেতে চাও তো মাথায় ঢুকাও ৫ বছর এর ভাবনা-চিন্তা।চাও তো প্রথম দুটো বছর মার খাও তায় শৈর্যবীর্য রক্ষা পাবে ৫ বছরের জন্যে,চট্টগ্রাম মেডিকেল এর মতো ঘরে আটকে সম্মিলিত ছ্যাচানি in case of 'vice versa'।
'২০ লাখে ভর্তি,১৫ তে ৩ সেট প্রশ্ন (not sure which one)' অফার।বাই দি কার্টেসি ফ্রম 'উদ্ভাম' অথবা 'ওমেগাজা' অথবা 'মান রাইজ' টাইপ বুয়েট চিটিং ও কোচিং সেন্টারের।তাদের দোষ নেইকো।সেদিনের কারো মহান লক্ষ্য আজ মহালক্ষ!কেনই বা না?মানুষের আজ "আগি যাইতাম পকেট ভর্তি ট্যাকা নিয়ে ব্যাগ ভর্তি বাজার লইতে।হখন ব্যাগ ভর্তি ত্যাকা,পকেট ভর্তি বাজার।”বাপদের টার্গেট ছেলে।২০,১৫ বা ২৫ ব্যাপার না।যত লাখ,ছেলে আমার ততো বড়ো!money matters BUETing.শিক্ষাত্রীরা টাকা গুজে ল্যাব পার,ভাইভা তে "কোন পার্টি?”,ডাইনিং এ মরা গরু,বিছানায় ছারপোকা,হাতে সেই ছারপোকা মারা রক্ত দুর্নীতির রক্তে মিশে একাকার।আফটার অল "ফেলো কড়ি,নাও বুয়েট এর সার্টিফিকেট (ভাগ্য ভালো থাকলে ডিপ্লোমা রেজিস্ট্রার সাক্ষরিত,নইলে poly-passed)।”
নিক্ষেপন বুয়েট এর ছেলেরা করেনা।আরও আধুনিক,আরও effective কিছু তাদের মানায়!মেকা-নেতারা হাতুড়ি,প্লায়ার্স,ড্রিল,লেদ মেশিন,বয়লার।ইলে-রা বৈদ্যুতিক চেয়ার,থ্রী ফেজ (মাথা,মুখ,___ এ সংযোজিত),লাইটিং ফেদার।কেমি-রা এসিড,চোখে ভিতর কাচ,পারদ খাইয়ে।মাটিচাপা,ইট চাপা,চাইলে জ্যান্ত কবর দেয় সিভি-বাইয়া নেতাগণ।ওয়াও বলে পানিতে KCN দেন পানি সম্পদ এ স্পন্দিত তারা.......।বিপরীত পার্টি কে এক ঘোড়াশালে ঘোড়া,হাতিশালে হাতি,বেজীশালে বেজী।তবে সবই লড়াইয়ে busy!
এমন দিন আসার জন্য আজ দরজায় তার ঠকাঠক দিব্যি শোনা যাচ্ছে।
লেখাটা শুধুই আমার ক্ষোভের প্রকাশ।আমার নিজের প্রতি বেশী।ফাকিবাজ ছাত্র আমি।বা আপনি।তবে দূর্নীতি যেখানে নিয়ম হয়ে দাড়ায় সেখানে আমার মধ্যেও কেমন যেনো ক্ষীণ মনুষত্বঃ মনুষত্বঃ বোধ জাগে।আমার জায়গাতে আমি আমার মতো ভাবি,নিয়ম নিয়ে মাতি,কাজ করি।বাংলাদেশে আজ মুল্যায়নের বড় অভাব,ন্যায়পরয়ণতার ঘাটতি,কেউ জবাব দিতে রাজী না।যারা মস্তক এদেশের,দেশের সবচেয়ে স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেও এরা মাফ করবেনা।এতোটাই জানোয়ার আমরা।
যদি কিছু করতে পারি অবশ্যই করবো ভালো যেটা আমার কাছে মনে হয়।তবে এটাও মনে হচ্ছে বুয়েট এর এবারের সমস্যাটা যেন বাংলাদেশের কপালে খুব খারাপ কোনো আগাম ইঙ্গিত নিয়ে আসছে।যা করার এখনই করতে হবে।এটাই শেষ সুযোগ শিক্ষার পবিত্রতা রক্ষা করার।পুরোটাই মানবতার প্রশ্ন।
এত্তোটুকু লিখেই,ও আচ্ছা,কলিজ্বা কাপে বুঝি আমার পরের হেভীওয়েট পারবো কিনা ভেবে!কি হয়,কি হয় জানি!কু-সু বুঝেও না বুঝি!ডিপার্টমেন্টের এক প্রজাতি মেরে শান্তি না পেলে তাকে কমপক্ষে নয়বার মরতে হয়।"******* creativity,we have to express”.
'বুয়েট টেষ্ট এ ৯৯.৮% সফল কোম্পানির রড এ বানানো ঘর ভেঙ্গেছে,৭ শিশুর কবর'।'সার্টিফাইড গ্যাস কোং এর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ,দু'জনের হাত পাখির মতো ডানা মেলেছে'।'সড়ক পথ ছেড়ে পানি পথে নেমেছে বাংলাদেশের তৈরী মটরসাইকেল চাকা খুলে'।পত্রিকার শিরনাম।অবশ্যই বুয়েট ইঞ্জিনিয়ার এর ডিজাইন,বুয়েট ল্যাব থেকে সনদ নিয়ে এগুলা গেছে সমাজে।জীবনের এহেন ঝুকিগুলা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতে আপনার সন্তান কে বুয়েট এর ভিসি বা প্রো-ভিসি বা ডি.এস.ডব্লিউ. বানান।য্যাম্নে পারা যায়।প্রয়োজনে উচু জায়গাই টিউশানি করুক।নইলে পদ তৈরীর ব্যাবস্থা করুন।অথবা দশটা ভিসি,পনেরোটা প্রো-ভিসি,ত্রিশটা ডি.এস.ডব্লিউ. থাকুক বুয়েটে।ক্ষতি নেই।তবুও।
বুয়েট থেকে স্নাতক পাশ সম্পন্ন করতে যে ক বছর লাগে : এক আমলের প্রতিহিংসার (!) শোধ নিতে যে ক'বছর লাগে+সেই প্রতি প্রতিহিংসার (!) শোধ নিতেও যে ক'বছর লাগে!
বুয়েট এলাকায় ভোরবেলা weight loss race দিতে যাবার আগে ক্ষমতাসীন দলের permission নিতে হয়।বিরোধী সন্দেহে গুলিগালা কখন পুটুশ করে কুপোকাত করে দেয় তার গ্যারান্টি কেও দিতে পারেনা,এমনকি,প্রধানমন্ত্রিও না!আপনি,সানি,সম্রাট যেই হোননা কেনো,মরার পর বুয়েট student হিসেবে সন্মান বা ন্যায্য বিচারের দূরাশা ত্যাগ করুন,নিশ্চিন্তে চির ঘুম দিতে পারেন।শুধু বুয়েট ই বাংলাদেশের এমন এক জায়গা,যেখানকার আমরা সবাই এর পরেও বলছি,"itz BUET maaannnnnnn”।
আগে (২০১১ ) দেখা যেতো বুয়েটের ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক 'বিদেশ গমন' (বেশীরভাগ)।আর এখন যায় সবাই।বুয়েটে পড়ার আগেই।না পড়েই।বাকিরা পড়ে থুবড়ে হুমড়ে।দেশের বৈদশিক সম্পদ আজ অগুনতি।ঘোড়াশালে ঘোড়া,হাতিশালে হাতি,বেজীশালে বেজী।তবে সবই লড়াইয়ে busy!
এমন দিন আসার জন্য আজ দরজায় তার ঠকাঠক দিব্যি শোনা যাচ্ছে।
লেখাটা শুধুই আমার ক্ষোভের প্রকাশ।আমার নিজের প্রতি বেশী।ফাকিবাজ ছাত্র আমি।বা আপনি।তবে দূর্নীতি যেখানে নিয়ম হয়ে দাড়ায় সেখানে আমার মধ্যেও কেমন যেনো ক্ষীণ মনুষত্বঃ মনুষত্বঃ বোধ জাগে।আমার জায়গাতে আমি আমার মতো ভাবি,নিয়ম নিয়ে মাতি,কাজ করি।বাংলাদেশে আজ মুল্যায়নের বড় অভাব,ন্যায়পরয়ণতার ঘাটতি,কেউ জবাব দিতে রাজী না।যারা মস্তক এদেশের,দেশের সবচেয়ে স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেও এরা মাফ করবেনা।এতোটাই জানোয়ার আমরা।
যদি কিছু করতে পারি অবশ্যই করবো ভালো যেটা আমার কাছে মনে হয়।তবে এটাও মনে হচ্ছে বুয়েট এর এবারের সমস্যাটা যেন বাংলাদেশের কপালে খুব খারাপ কোনো আগাম ইঙ্গিত নিয়ে আসছে।যা করার এখনই করতে হবে।এটাই শেষ সুযোগ শিক্ষার পবিত্রতা রক্ষা করার।পুরোটাই মানবতার প্রশ্ন।
এত্তোটুকু লিখেই,ও আচ্ছা,কলিজ্বা কাপে বুঝি আমার পরের হেভীওয়েট পারবো কিনা ভেবে!কি হয়,কি হয় জানি!কু-সু বুঝেও না বুঝি!